

একজিমা শিশুদের মধ্যে একটি সাধারণ ত্বকের সমস্যা যা চুলকানি, লালচে ভাব ও ত্বকের শুষ্কতার মাধ্যমে প্রকাশ পায়। সঠিক যত্ন ও চিকিৎসা না করলে এটি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে এবং শিশুর অস্বস্তি বাড়িয়ে দেয়।
একজিমা হলো ত্বকের একটি প্রদাহজনিত অবস্থা যেখানে ত্বক শুষ্ক, খসখসে ও লাল হয়ে যায়। শিশুদের মধ্যে একে প্রায়ই অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস বলা হয়।
জেনেটিক কারণ – পরিবারে আগে থেকে একজিমা বা অ্যালার্জি থাকলে শিশুর ঝুঁকি বেশি।
ইমিউন সিস্টেমের প্রতিক্রিয়া – অতিরিক্ত সংবেদনশীল ইমিউন সিস্টেম ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি করে।
পরিবেশগত কারণ – ধুলো, ফুলের রেণু, পশুর লোম ইত্যাদি অ্যালার্জি ট্রিগার করতে পারে।
রাসায়নিক সংস্পর্শ – সাবান, ডিটারজেন্ট বা পারফিউমযুক্ত পণ্যের কারণে ত্বকে জ্বালা হতে পারে।
আবহাওয়া পরিবর্তন – শুষ্ক বা ঠান্ডা আবহাওয়া একজিমা বাড়াতে পারে।

childhood eczema
ত্বকে লালচে দাগ
চুলকানি, বিশেষ করে রাতে
ত্বকের শুষ্কতা ও খসখসে ভাব
ছোট ফোস্কা বা পানি বের হওয়া
আক্রান্ত স্থানে ত্বক মোটা ও গাঢ় হয়ে যাওয়া
শিশুর একজিমা দেখা দিলে প্রথমেই শিশু বিশেষজ্ঞ বা ত্বক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
গন্ধমুক্ত ময়েশ্চারাইজার দিনে অন্তত ২-৩ বার ব্যবহার করুন।
স্নানের পর ত্বক হালকা ভেজা অবস্থায় ক্রিম লাগান।
ধুলো, পশুর লোম ও রাসায়নিকযুক্ত পণ্য থেকে দূরে রাখুন।
সুতি কাপড় পরান যাতে ত্বক বাতাস পায়।
ওটমিল বাথ চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।
নারকেল তেল বা জলপাই তেল ত্বকের শুষ্কতা কমাতে কার্যকর।
চিকিৎসকের পরামর্শে স্টেরয়েড ক্রিম বা অ্যান্টিহিস্টামিন ব্যবহার করা যেতে পারে।

skin looking healthy
শিশুর ত্বক সবসময় আর্দ্র রাখুন।
অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে স্নান করাবেন না।
শিশুর নখ ছোট করে কাটুন যাতে চুলকালে ক্ষত না হয়।
উপসংহার:
বাচ্চাদের একজিমা সঠিক যত্ন ও চিকিৎসায় নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। পিতামাতার উচিত সময়মতো পদক্ষেপ নেওয়া ও শিশুর ত্বক সুরক্ষিত রাখা।